একদিকে যখন গোটা দেশ দিওয়ালির আনন্দ উদযাপনে মেতে উঠেছে তখন অন্যদিকর চরম ধাক্কা খেলেন ভারতের (India) অন্যতম বড় ব্যবসায়ী গৌতম আদানি (Gautam Adani)। তিনি হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি উৎসবের সময়ে এমন হবে। আদানি গ্রুপ (Adani Group) হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তা সত্ত্বেও গ্রুপের শেয়ারের দর পতন অব্যাহত রয়েছে। শেয়ার দর পতনের কারণে গ্রুপটি ১৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি লোকসান করেছে। দেশের দ্বিতীয় অন্যতম ধনবান ব্যক্তি গৌতম আদানি এ বছর সম্পদ হারানোর শীর্ষে রয়েছেন।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, গৌতম আদানির সম্পদ বছরে ৬০ বিলিয়ন ডলার কমেছে। বছর শুরুর আগে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলিয়নিয়ারের একজন গৌতম আদানি ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ব ক্রম তালিকার ২১তম স্থানে রয়েছেন। এই পরিসংখ্যানের ফলে এখন মনে করা হচ্ছে যে আদানি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়া বিলিয়নিয়ারদের তালিকার প্রথম দিকে রয়েছেন।
সূচক অনুযায়ী, গৌতম আদানির সম্পদ বর্তমানে ৬০.৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বের বিলিয়নিয়ারদের ক্রম তালিকার তিনি ২১ তম স্থানে রয়েছেন। আদানির লোকসানের দিকে তাকালে বলা যায়, ২০২৩ সালেই তাঁর সম্পদ অর্ধেক হয়েছে। আমেরিকার শর্ট সেলার ফার্ম হিন্ডেনবার্গ জানুয়ারিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই রিপোর্টে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, শেয়ারের মূল্যায়নে কারচুপির অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া শেল কোম্পানির মাধ্যমে আদানির প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন বলেও দাবি করা হয়। যদিও আদানি গ্রুপ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তা সত্ত্বেও গ্রুপের শেয়ারের দর পতন অব্যাহত রয়েছে।
শেয়ার দর পতনের কারণে গ্রুপটি ১৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি লোকসান করেছে। এখন আদানি গ্রুপ পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে তবে বেশ ভালই কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে সেবি। একই সঙ্গে সময়ে সময়ে আরও অনেক প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে আদানি গ্রুপের জন্য এই বছরটি এখনও পর্যন্ত খুব একটা স্বস্তিদায়ক হয়নি।