বর্তমানে টিম ইন্ডিয়ার (India national cricket team) জয়জয়কার চলছে চারিদিকে। আর পরপর জয়ে বেজায় খুশি বিসিসিআইও (Board of Control for Cricket in India)। তবে এই সাফল্য সহজেই আসেনি। দীর্ঘদিন ধরে অনেক কটুকথা শুনতে হয়েছে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli)। মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) অবসর নেওয়ার পর ভারত কেন একটাও ICC ট্রফি পায়নি, তা নিয়ে মুণ্ডুপাত করা হয়েছে ভারতীয় দল এবং BCCI-কে। তবে এবার অনেকটা আশা জেগেছে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের মনে। কারণ এশিয়া কাপে ভারত যা খেলা দেখাচ্ছে, তা দেখে মনে হচ্ছে যে, এবার দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ ভারতই জিতবে। আর এই এশিয়া কাপের মধ্যেই এক দারুণ অস্ত্র পেয়ে গেল জয় শাহরা (Jay Shah)।
এশিয়া কাপে প্রথমে পাকিস্তানের আগুনে বোলিংকে ল্যাজেগোবরে করে ছাড়ে ভারতীয় দল। এরপর বাবররা ব্যাট করতে নেমে ফের মুখ পোড়ায়। বিশ্বের এক নম্বর ওয়ানডে দলকে নিয়ে একেবারে ছেলেখেলা করে ভারতীয় বোলাররা। এর পরিণাম হিসেবে ২২৮ রানে জয় পায় টিম ইন্ডিয়া। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চিত্রটা একটু অন্য হলেও শেষ হাসি টিম ইন্ডিয়াই হাসে।
তবে, এর মধ্যে সবথেকে চমক দেখাচ্ছে সম্প্রতি চোট সারিয়ে দলে ফেরা কেএল রাহুল। তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে অনবদ্য সেঞ্চুরি করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি অপরাজিতও ছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বড় রান না পেলেও, ৩৯ করে টিমকে কিছুটা শক্তি যুগিয়েছেন। ওই দিন রোহিত শর্মার ৫৩-র পর রাহুলের ৩৯ই ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। তবে এখানে কথা রাহুলে ব্যাটিং নিয়ে হচ্ছে না।
এখানে কথা হচ্ছে লোকেশ রাহুলের উইকেট কিপিং নিয়ে। বলে দিই, এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে উইকেট কিপিং করেছিলেন ঈশান কিষাণ। আর ওই দুই ম্যাচে তাঁর অজস্র ভুলও ধরা পড়েছিল। তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল যে, কিষাণকে দিয়ে বিশ্বকাপে কিপিং করালে ভুগতে হবে গোটা দলকে। তবে, গতকাল কিছুক্ষণ কিপিং করেন রাহুল। আর সেই সময়ের মধ্যেই তিনি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে দেন। রাহুলের অনবদ্য কিপিংয়ের কারণে কাল শ্রীলঙ্কাকে হারানো সম্ভব হয়েছিল বলে মনে করেন অনেকেই। তাই বিশ্বকাপের আগেই যে টিম ইন্ডিয়ার হাতে এক অস্ত্র উঠে এল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।