ভারতে (India) আজকাল ক্রিকেটারের (Cricket Player) অভাব নেই। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একজন নতুন খেলোয়াড়ের খোঁজ মেলে। বিশেষ করে IPL চালু হওয়ার পর থেকে ভারতে ক্রিকেটারের প্রতিভার সম্ভার দেখা গিয়েছে। অনেক নতুন নতুন প্লেয়ারের খোঁজ মিলেছে। এবং এই IPL-এই ভালো পারফরমেন্স দেখিয়ে উদীয়মান ক্রিকেটাররা ভারতীয় দলে (India national cricket team) সুযোগ পেয়েছেন। এখন সমস্যা হল বিসিসিআই (Board of Control for Cricket in India) সবাইকে সুযোগ দিতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে এমনটা হয় যে খেলোয়াড়রা সুযোগ না পাওয়ায় অন্য দেশে চলে যেতে শুরু করে। তাদের মধ্যে একজন ক্রিকেটার যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) চলে গিয়েছেন এবং এখন বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের বিপক্ষে খেলবেন।
আসলে, আমরা যে ক্রিকেটারের কথা বলছি তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কেশব মহারাজ (Keshav Maharaj)। কেশব ১৯৯০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের সঙ্গে এই আফ্রিকান খেলোয়াড়ের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এটা আজকের নয় বহু বছর আগের কথা। কেশব মহারাজের পূর্বপুরুষরা ১৮৭৪ সালে উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর থেকে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন।
পরে তার পরিবার সেখানে বসতি স্থাপন করে। কেশব আফ্রিকায় বসবাস করলেও ভারতীয় সংস্কৃতি ভুলে যাননি। কথিত আছে তিনি হনুমানজির পরম ভক্ত। বলে দিই যে, কেশবের বাবা আত্মানন্দও একজন ক্রিকেটার ছিলেন। আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলেছেন। এর পাশাপাশি তার দাদাও ছিলেন একজন ক্রিকেটার।
উল্লেখযোগ্যভাবে, কেশব মহারাজের স্ত্রীও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তার নাম লরিশা মুনসামি। জানা যায় যে, দুজনের বিয়ে প্রেম করে হয়েছিল। ২০১৯ সালে, দুজনেই বাগদান সম্পন্ন করেছিলেন কিন্তু করোনা শুরু হয়েছিল বলে বিয়ের সুযোগ পাননি। পরবর্তীতে ২০২২ সালের এপ্রিলে কেশব মহারাজ তার দীর্ঘদিনের প্রেমিকাকে বিয়ে করেন। বলে দিই যে, তার স্ত্রী একজন কত্থক নৃত্যশিল্পী।
কেশব মহারাজের কেরিয়ারঃ আমরা আপনাকে বলে দিই যে, কেশব মহারাজ দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি ফর্ম্যাটেই অভিষেক করেছেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪৯টি টেস্ট, ২৭টি ওয়ানডে এবং ২৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এবং এই সময়ে তিনি যথাক্রমে ১৫৮, ২৯ এবং ২২টি উইকেটও নিয়েছেন।