গরম থেকে বাঁচতে মানুষ ভরসা করেন পাখাকে (Fan)। সে সিলিং হোক, হাতপাখা হোক বা টেবিল ফ্যান। সবসময় আর সবার পক্ষে এসি কেনা সম্ভব হয় না, ফলে ফ্যানের ওপরেই ভরসা করতে হয় মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষকে। যদিও গরমকালে সকলেরই কমবেশি বিদ্যুতের (Electricity) লম্বা চওড়া একটি বিল আসে। এই বিলের অঙ্ক অনেক দেখে চোখ কপালে ওঠে সকলের। কারণ গরমকালে সবার বাড়িতেই ২৪ ঘণ্টা ফ্যান চলে। ফলে বিলটাও তেমনই আসে। কোনোভাবেই বাড়তি বিলের টাকা কমানো যায় না। এহেন অবস্থায় এবার বাজারে এল এক নতুন ধরনের ইলেকট্রিক ফ্যান (Electric Fan)। তাও কিনা আবার সেটি তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)।
এদিকে বছরের পর বছর ধরে তাপমাত্রা রেকর্ড গড়ছে। গরমের জেরে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। ফলে সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা ভেবে হুগলিতে (Hooghly) এক নয় ধরণের ইলেকট্রিক ফ্যান আনল এক সংস্থা। এই ফ্যান বাড়িতে থাকলে কোনো চিন্তা নেই। যতক্ষণ ইচ্ছা চালিয়ে রাখুন, বিল কিন্তু আসবে সেই সামান্যই। জানা গিয়েছে, হুগলির পোলবায় (Polba) এক সংস্থার কারখানায় তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ ফ্যানটি। যা আগামী দিনে মানুষের কাছে অনেক ভরসার জিনিস হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের হাত ধরে এই বিশেষ পাখার উদ্বোধন হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারও। আগেই বলে দিই, এই পাখার বিশেষত্ব আপনাকে অবাক করবে। এই ইলেকট্রিক ফ্যানগুলি তৈরি হয়েছে বিএলডিসি প্রযুক্তিতে। বিএলডিসি কথার পুরো অর্থ ব্রাশলেস ডিরেক্ট কারেন্ট মোটর। এই প্রযুক্তিতে চলা পাখার মোটরটি বিদ্যুতের উৎস হিসেবে ডিরেক্ট কারেন্ট ব্যবহার করে।
এই বিশেষ পাখা সম্পর্কে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর সম্পূর্ণা ঘোষ। তিনি জানান, এই বিএলডিসি প্রযুক্তিতে চলা পাখা অনেক কম বিদ্যুৎ টানে। ফলে বিদ্যুতের বিলও কম উঠবে। সংস্থার তরফে আরও দাবি করা হচ্ছে, যদি গোটা দেশের ৩০ কোটি মানুষও এই বিএলডিসি পাখা ব্যবহার করেন, তাহলেও এক বছরে প্রায় ৮১০০ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে।
আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই ফ্যানের মূল্য কত হবে? এই প্রসঙ্গে সংস্থা জানাচ্ছে, এই ফ্যানের দাম হবে ৯৯৯ টাকা। ইতিমধ্যে এই ফ্যান কেন্দ্রের তরফে ৫ স্টার রেটিংও পেয়ে গিয়েছে বলে খবর।