টাকার প্রয়োজন কার না নেই? প্রত্যেকেই অর্থ উপার্জনের (Income) বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে। কেউ কেউ কঠোর পরিশ্রম করেন, আবার কেউ কম পরিশ্রম করে আয় করতে চান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে অল্প সময়ে অর্থ উপার্জন করা যায়।
সব ধরনের কাজের মাঝেও কেউ কেউ পরামর্শ দেন। লটারির (Lottery) মাধ্যমে ভাগ্যের চেষ্টা করলে ক্ষতি কী, কিন্তু মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন হলো লটারি কিনলে আপনার ভাগ্য কী খুলবেই? অল্প সময়ের মধ্যে অনেকেই বেশি অর্থ উপার্জন করতে চান। আর তার জন্য বেশিরভাগ মানুষই একটা জিনিস করতে তৎপর হয়ে ওঠেন, আর তা হল লটারির টিকিট কাটতে যাওয়া।
এই লটারি জিনিসটা খুবই আসক্তির। অনেকেই একবারেই লটারির টিকিট কেটে হাজার হাজার বা লাখ টাকাও জিতে নিতে পারেন আবার অনেকের ভাগ্য এতটাই খারাপ হয় যে বারবার টিকিট কেটেও লাভের মুখ দেখতে পারেন না। তাও লটারির টিকিট কিনতে পিছু পা হন না অনেকেই।
যদিও বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়ার (Sainthia) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আদিত্য মণ্ডলের কপালটা একটু অন্যরকম ছিল। লটারির টিকিট কাটার ফলে যে তার ভাগ্য আমূল বদলে যাবে তা হয়তো কেউই কল্পনা করতে পারেননি। তিনি একজন পেশায় হোটেল কর্মী। এলাকাবাসী তাঁকে গোলাপ নামে ডাকে। এবার তিনিই কিনা লটারির টিকিটের দৌলতে পেয়ে গেলেন ১ কোটি টাকা! হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন একদম।
যদিও লটারির টিকিট জিতে শান্তি পাচ্ছিলেন না আদিত্য, তিনি সটান সাঁইথিয়া থানায় হাজির হন। তিনি একপ্রকার দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন যে কীভাবে, কোথায় এই টিকিট দেখালে তিনি টাকাটা পাবেন। যদিও তাঁকে খালি হাতে ফেরায় না পুলিশ। পুলিশই তাঁকে জানায় কোথায় গিয়ে সেই টিকিট জমা করলে গোলাপ তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাবেন।
কেমন লাগছে এত টাকা জিতে? এই প্রসঙ্গে গোলাপ জানান, “আমি আগেও অনেক বার লটারির টিকিট কেটেছি। কিন্তু কোনও বারই এত টাকা পায়নি। কখনো পেয়েছি ৪৫০০০ টাকা তো আবার কখনও পেয়েছি ৯০০০০ টাকা। এমনকি, নিজের কাছে টাকা না থাকলেও লোকের থেকে টাকা ধার নিয়ে লটারির টিকিট কেটেছি। তবে এইবারে আমি ১ কোটি টাকা জিতেছি। যখন টাকা জেতার খবর জানতে পারি, খুব আনন্দ হয়েছিল। তারপরই আমি লটারির টিকিট নিয়ে সাঁইথিয়া থানায় যাই। ওঁরা আমায় বলেন, কোথায় গিয়ে টিকিট জমা করলে টাকাটা আমি পাব। তারপরই আমি সেই টিকিট জমা দিয়ে আসি। আমার বাড়ির লোক থেকে পাড়া প্রতিবেশী সবাই খুবই খুশি। আমি গত ৬ বছর ধরে টিকিট কাটছিলাম।”
আরও পড়ুনঃ তাঁকে নিয়ে ছড়িয়েছে একের পর এক গুজব! এবার মুখ খুললেন খোদ বিরাট কোহলি, সপাটে জবাব সবাইকে
এত টাকা নিয়ে তিনি কী করবেন? গাড়ি, বাড়ি কিনবেন? গোলাপ জানান, এই টাকার কিছুটা অংশ দিয়ে নিজের ব্যবসা খোলার ইচ্ছা রয়েছে। আর বাকি টাকা সরকারি ভাবে পোস্ট অফিসের স্কিমে রাখতে চান আদিত্য।