সাবধান! দিঘায় বড়সড় চক্রের পর্দাফাঁস, ন্যক্কারজনক ঘটনায় মাথায় হাত পুলিশ থেকে আমজনতার

দিঘা (Digha) পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত একটি প্রিয় জায়গা। সময় পেলেই মানুষ সেখানে ছুটে চলে যায়। কিন্তু পর্যটকদের এই প্রিয় জায়গায় এই প্রিয় জায়গায় এবার ঘটে গেল এক ন্যক্কারজনক ঘটনা যা হয়তো কল্পনাতে ভাবতে পারেনি কেউ। এবার কিনা দিঘায় শিশু পাচার সক্রিয় রয়েছে! হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। চোখের নিমেষে মাত্র ৪ দিনের শিশু কিনা পাচার হয়ে যাচ্ছিল। আজ সোমবার এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গেল সৈকত নগরী দিঘায়।

গোটা বিষয়টি খুলে বলা যাক। আজ দিঘা হাসপাতালে একটি নবজাতক শিশুকে টিকাকরণের জন্য নিয়ে আসেন তিনজন মহিলা। এরপর থেকে সন্দেহ দানা বাঁধে হাসপাতালে উপস্থিত থাকা চিকিৎসকদের মনে। এরপর সেই সন্দেহের আগুনে ঘি আরো পরে যখন ওই মহিলারা শিশুটির বার্থ সার্টিফিকেট দেখাতে ব্যর্থ হন।

এরপর হাসপাতালে উপস্থিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আর দেরি না করে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন। সেইসঙ্গে খবর দেওয়া হয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকেও। দিঘা পুলিশ সূত্রে খবর, মার্জিনা বিবি নামে এক মহিলাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আর ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ্যে উঠে আসে। যা শুনে একপ্রকার থ হয়ে যায় পুলিশ।

ধৃত ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এগরার এক নার্সিংহোম মালিক সঞ্জয় গোল ও তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়ার খোঁজ পায়। তাঁদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে নিঃসন্তান মর্জিনাকে ২ লক্ষ টাকায় কিনতে সহযোগিতা করেছিলেন সঞ্জয় ও সুপ্রিয়াই।

আর যে শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করে সেও এগরার ওই নার্সিংহোমেই জন্ম নিয়েছিল। মাত্র কয়েকটা টাকার লোভে একরত্তি ওই শিশুটির দাদু বিক্রি করে দেন হাসপাতালের মালিকের কাছে বলে অভিযোগ। গুণধর ওই দাদুকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে ওই শিশুটি চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্যদের তত্বাবধানে রয়েছে বলে খবর।