এবার এই হাসপাতালগুলিতে বিনামূল্যে ডায়ালাইসিস! রাজ্যবাসীর জন্য বড় ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi) নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। আর যার কারণে উপকৃত হবেন যাদের কাছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ২০১৬ সালে এই প্রকল্পটি চালু করেছিলেন।

গ্রামীণ এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অর্থাৎ চিকিৎসার বিপুল খরচ যারা বহন করতে পারবেন না তাঁদের মধ্যে এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে রয়েছে। এই কার্ডের মধ্যে ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একাধিক রোগের চিকিৎসার জন্য অন্তর্ভুক্তি করেছেন। কথাতেই আছে, শরীর ভালো তো সব ভালো, শরীর ভালো থাকলেই সবকিছু করা সম্ভব। তবে শরীরই যদি বিগড়ে যায় তাহলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ থমকে যায়।

২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ‘স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প’ চালু করেছিলেন৷ আর এই প্রকল্প চালু হতেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। জানা যায় ইতিমধ্যেই ২.৪ কোটি মানুষ ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধাভোগী। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার সাধারণ মানুষকে ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্য বিমা দেওয়া হয়। তবে এই কার্ডের সঙ্গে জুড়ল আরও একটি বিশেষ ব্যাপার।

অনেকেই জানেন যে ডায়ালাইসিসের ক্ষেত্রেও এই কার্ডের ব্যবহার করা যাবে বলে ঘোষণা করেছিল সরকার। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের কারণে বহু মানুষের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল। তবে এরই মাঝে শোনা যাচ্ছে, এবার বিনামূল্যে ডায়ালিসিস পরিষেবা আরও বেশি করে পেতে চলেছেন রাজ্যবাসী। বর্তমান সময়ে রাজ্যের সাতটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সরকারি উদ্যোগে বিনামূল্যে ডায়ালিসিস পরিষেবা মেলে। তবে সেটা আরও বাড়তে চলেছে এক ধাক্কায়। যা কিনা বড় সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

swasthya sathi card mamata

রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে বিনামূল্যে ডায়ালিসিস চালু হবে কালনা থেকে শুরু করে ফালাকাটা, টিএল জয়সওয়াল, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, চাঁচল, সল্টলেক, হলদিয়া, ডোমকল, জঙ্গিপুর, নন্দীগ্রাম, ঘাটাল, খড়্গপুর, দিনহাটা, শ্রীরামপুর, কালিম্পং, বনগাঁ, রঘুনাথপুর, ইসলামপুর, বড়জোড়া, কাকদ্বীপ, তেহট্ট, কান্দি এবং নয়াগ্রাম হাসপাতালে। সাতটি হাসপাতাল বাদ দিলে আরও ৪৫টি সরকারি হাসপাতালে এই পরিষেবা মেলে যদিও এর সঙ্গে যুক্ত হল আরও ২৪টি হাসপাতাল। ফলে এবার সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ালো ৭৬-এ।