ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সারাবিশ্বেই মুদ্রাস্ফীতি অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এরজন্য দায়ী করেন জ্বালানি তেলের অগ্নিমূল্যকে। কিন্তু বহুদিন পর ১০০ ডলারের নীচে নেমেছে অপরিশোধিত তেলের দাম। কিন্তু ভারত সরকার এখনও নয়া দাম নিয়ে কিছু বিবেচনা করে দেখেনি। কিন্তু তারই মধ্যে আশার আলো দেখালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
তেলের দামে জর্জরিত সারা বিশ্বই। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়, কিন্তু এবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এর কথা শুনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল দেশবাসী। অর্থমন্ত্রী জানান যে, এবার থেকে প্রতি ১৫ দিন পরপর অপরিশোধিত তেল, ডিজেল-পেট্রোল এবং বিমান জ্বালানির আরোপিত করে পর্যালোচনা করবে সরকার।
আন্তর্জাতিক মূল্যের কথা মাথায় রেখে প্রতি পক্ষে একবার করে কর পর্যালোচনা করা হবে।
গত কয়েকদিন কেন্দ্র সরকার ডিজেল ও বিমান জ্বালানির ওপর উইন্ডফল প্রফিট ট্যাক্স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেইসাথে দেশীয় অপরিশোধিত তেলের ওপর কর বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছিল সরকার। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত লাগু করতে চলেছে মোদী সরকার। অপরিশোধিত তেলের লাগামহীন দামের মধ্যেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারত সরকার পেট্রোল এবং পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য বিক্রি করেও প্রচুর রোজগার করে। সেই বিষয়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, তারা জ্বালানি তেল রপ্তানি বন্ধ না করলেও এবার টেনে মেপে রপ্তানি করা হবে। কারণ দেশীয় চাহিদা এখন অত্যন্ত বেশি রয়েছে, তাই সেই কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
দেশের মধ্যে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেলের উপর প্রতি টনে ২৩,২৫০ টাকার কর আরোপ করেছে সরকার। রাজস্ব সচিব তরুণ বাজাজ জানিয়েছেন যে, এই নতুন কর SEZ ইউনিটগুলিতেও লাগু হবে। কিন্তু SEZ ইউনিটের রপ্তানিতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না।
একইসাথে ডলারের কাছে রুপির পতন প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন নির্মলা সীতারমন। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, RBI এবং সরকার পরিস্থিতিকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমদানিতে রুপির মূল্যের প্রভাব সম্পর্কে সরকার পুরোপুরি সচেতন রয়েছে। খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে তবেই কিছু সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।