স্পেকট্রাম নিলাম সম্পন্ন হওয়ার পর টেলিকম সংস্থাগুলি দেশে শীঘ্রই 5G পরিষেবা চালু করতে চলেছে। আর সেই কারণে লোকেরা প্রযুক্তির ফল স্বরূপ আরো উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। দেশে 5G এর চলবাড়ায় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মত এখন চরম উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে টেলিকম সংস্থাগুলোও।
5G পরিষেবা শুরু করার জন্য এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে। বিরাট তোড়জোড়ের সাথে সমস্ত কোম্পানি কাজ করছে যাতে দীপাবলির আগেই দেশে 5G পরিষেবা শুরু করা যায়। আর দেশের মানুষের হাতে 5G ফোন এসে গিয়েছিল প্রায় ১.৫ বছর আগেই। তখন থেকেই 5G নিয়ে বেশ উত্তেজিত ব্যাবহারকারীরা। এছাড়া ফ্রীতে 5G সিমও দিচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি।
স্মার্টফোন নির্মাতারা তো বহু আগেই 5G ফোন লঞ্চ করেছিল, এবার আপনার ফোনে 5G পরিষেবা পেতে শুধু একটি 5G সিমের প্রয়োজন পড়বে। আর সেই নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি নিজেদের বড়সড় ঘোষণা করেছে। কিন্তু সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘোষণা করেছে airtel। এদিকে যখন দীপাবলির সময়ে দেশের ১৩ টি শহরে 5G পরিষেবা চালু হবে, Airtel জানিয়েছে যে, আগামী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই দেশের সমস্ত জায়গায় 5G পরিষেবা দিতে তারা অঙ্গিকারবদ্ধ।
এখন দেশের সমস্ত বড়শহরে পরিষেবা শুরু হলেও ধীরে ধীরে আগামী ২০২৩ সালের শেষের দিকে সারা দেশই 5G ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। শুধু তাই না, এয়ারটেল ব্যাবহারকারীরা 4G সিমেই 5G উপভোগ করতে পারবেন। এখন দেখার গ্রামাঞ্চলে কখন আসে এই পরিষেবা।
আমরা আপনাকে বলি যে এয়ারটেল কোম্পানি এই বছরের শেষ নাগাদ দেশের বড় শহরগুলিতে 5G পরিষেবা শুরু করার লক্ষ্য নিয়েছে। একই সময়ে ২০২৩ সালের শেষের দিকে এয়ারটেলের 5G নেটওয়ার্ক দেশের সমস্ত বড় শহরে কাজ শুরু করবে। সংস্থাটি বলেছে যে ২০২৪ সালের শেষের দিকে 5G নেটওয়ার্ক দেশের শহর ও গ্রামাঞ্চলে সম্পূর্ণরূপে পেতে শুরু করবে।
বিভিন্ন স্মার্টফোন কোম্পানি ইতিমধ্যেই 5G পরিষেবা ব্যাবহার করা যায় এমন ফোন লঞ্চ করেছে বাজারে। যদিও পুরনো সমস্ত ফ্ল্যাগশিপ এবং মটোরোলা বাদে বেশিরভাগ ফোনই 5G এর খুব ভালো সার্ভিস দিতে পারবে না দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তাই এবার থেকে ফোন কেনার আগে দেখেনিন কতগুলো 5G ব্যান্ড সাপোর্ট করে সেই ফোন, আর সেই তালিকায় ভারতের ব্যান্ডগুলো রয়েছে কিনা।