এয়ারটেল (Bharti Airtel) ও Jio…দেশের অন্যতম বড় টেলিকম সংস্থা। টেলিকম সেক্টরে একে ওপরকে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর দেয় এই দুই সংস্থা। কোন কোম্পানি বেশি গ্রাহককে আকর্ষণ করতে পারবে সেটা নিয়ে একপ্রকার এই দুটি সংস্থার মধ্যে জোরদার লড়াই হয়। যদিও দীপাবলির আগেই বড় রকমের ধাক্কা খেল ভারতী এয়ারটেল।
রিলায়েন্স জিও-কে টেক্কা দিতে গিয়ে অনেকটাই বড় ঝটকা খেল এয়ারটেল। সংস্থাটি তার ত্রৈমাসিক ফলাফল সম্পর্কে বড় তথ্য দিয়েছে। যা দেখে চমকে উঠেছেন সকলেই, বিশেষ করে এয়ারটেল গ্রাহকরা। রিপোর্টে সাফ দেখা যাচ্ছে, বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে এয়ারটেল। জানা গিয়েছে, কোম্পানির নিট মুনাফা কমেছে ৩৭.৫ শতাংশ।
এয়ারটেলের নিট মুনাফা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩৪১ কোটি টাকা। এর আগের বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে নিট মুনাফা ছিল ২ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। কিন্তু সেই যে কথায় আছে না, কারোর পৌষ মাস তো কারোর সর্বনাশ। এক্ষেত্রে পৌষ মাস হয়েছে জিও-র। বড় লাফ মেরেছে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও। জিও-র নিট মুনাফা বেড়েছে ৪ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি আয় করেছে ৪,৮৬৩ কোটি টাকা। উভয় কোম্পানির পরিসংখ্যানে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে গ্রাহকদের ওপর বলে মনে করা হচ্ছে।
উৎসবের আবহে একদিকে জিও জানিয়েছে, আমরা আমাদের প্ল্যানে কোনও পরিবর্তন আনব না। অন্যদিকে এয়ারটেলের গল্পটা অন্যরকম। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে, পরিকল্পনাগুলি ব্যয়বহুল করা ছাড়া সংস্থার আর কোনও বিকল্প নেই বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে এয়ারটেল গ্রাহকদের সমস্যা বাড়তে পারে বৈকি। এও ধারণা করা হচ্ছে, যদিও এয়ারটেল নিজেদের রিচার্জ প্ল্যান ব্যয়বহুল করে ফেলে তাহলে গ্রাহকরা জিও সিম নেওয়ার দিকে ঝুঁকতে পারে।
নতুন রিচার্চ প্ল্যান সম্পর্কে দীপাবলির পরে এয়ারটেল একটি বড় ঘোষণা করতে পারে। এতে কোম্পানির আয় বাড়লেও কোথাও না কোথাও গ্রাহকের সংখ্যা কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।