বিরাট কোহলির শতরানের পর তোপের মুখে BCCI সভাপতি সৌরভ! চারিদিকে সমালোচনার ঝড়

এশিয়া কাপে (Asia Cup) ভারত (India) আফগানিস্তানের (Afghanistan) ম্যাচ ছিল সম্মানরক্ষার ম্যাচ। সুপার ফোর রাউন্ডের এটি ছিল তৃতীয় ম্যাচ, যেখানে আফগানিস্তানকে ১০১ রানে হারিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। তবে এই ম্যাচ জিতেও কোনো কার্যসিদ্ধি হলনা টিম ইন্ডিয়ার। না একেবারেই হলোনা বললে খুবই ভুল বলা হয়, প্রাপ্তি রয়েছে। পুনরায় ২২ গজে নিজের তাণ্ডব রূপ দেখিয়েছেন কিং কোহলি (Virat Kohli)!
২ বছর ৯ মাস ১৬ দিন। হ্যাঁ ঠিক এতগুলো দিন অনুরাগীদের অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রিয় তারকার ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি দেখতে। ৭০ এরপর ৭১ টি সেঞ্চুরি করতে অনেকটাই সময় নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার কামব্যাক হয়েছে দুর্দান্ত। ভারতের ইনিংসের শেষে তিনি ১২২ রানে অপরাজিত থাকলেন। সেই সাথে তাকে নিয়ে চলা সমালোচনার যোগ্য জবাব দিয়েছেন তিনি।
কোহলির ঝড়ো সেঞ্চুরির পরই নেট পাড়ায় ‘বিরাট’ বন্যা শুরু হয়েছে। সকলের মুখে শুধুমাত্র একটাই কথা – কিং ইজ ব্যাক। সামনেই রয়েছে টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ সফর। আর বিশ্বকাপের আগে কোহলি ফর্মে ফিরে আসায় স্বস্তিতে রয়েছে পুরো ভারতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু তারই সাথে সমান্তরালে কোহলির অনুরাগীদের রোষানলে পড়েছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বর্তমান বিসিসিআই (Board of Control for Cricket in India) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)।
আসলে ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালের টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপে। সেখানে ভারতীয় দলের জঘন্য পারফরম্যান্সের পরই কোহলি জানান যে, তিনি আর নেতৃত্বে দেবেন না। সেখানের তাঁর জায়গায় বসানো হয় রোহিত শর্মাকে। সেখানেই শেষ নয়, একদিনের ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও দলের রাশভার বিরাটের কাছ থেকে কেড়ে নেয় টিম ম্যানেজম্যান্ট। তাদের বক্তব্য সীমিত ওভারের ক্রিকেটে স্প্লিট ক্যাপ্টেন্সি চাইছে না তারা, আর তাই দলের নতুন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
এবার অনেকেই মনে করেন যে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব ছিল না। আর তাই কোহলি যখন নিজের সেঞ্চুরি হাঁকালেন তখন তার অনুরাগীরা এসে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও কথা শোনাতে ছাড়লেন না। ট্যুইটের পর ট্যুইটে ক্ষত বিক্ষত করে দেওয়া হয় সৌরভ গাঙ্গুলিকে। এক ব্যবহারকারী স্পষ্টই লিখেছিলেন যে, ‘একমাত্র সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ই বিচক্ষণ মানুষ যিনি বুঝতে পেরেছিলেন বিরাট কোহলির থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নিলেই শতরান করতে পারবেন।’ অন্যজন তো আবার বলেই দেন যে, কোহলি এবং আর্শদীপের সমালোচনা যাঁরা করেন তাঁরা হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নয়ত বা পাকিস্তানি!
কোহলির এইভাবে কামব্যাক করা দেখে অনেকেই হাততালি দিয়ে এবং তারপর মাথা নুইয়ে তাকে সম্মান জানিয়েছেন। কোহলির কামব্যাক টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলের পক্ষেও মঙ্গলজনক হয়ে উঠেছে। এখন দেখার আসন্ন বিশ্বকাপে কোহলি এই ফর্ম ধরে রাখতে পারেন কিনা।