বিসিসিআইয়ের (Board of Control for Cricket in India) বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL) পরবর্তী চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল (arun dhumal) শুক্রবার সৌরভ গাঙ্গুলিকে (Sourav Ganguly) বিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে না দেওয়া নিয়ে বিষয়গুলি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়কের বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথা বলেন নি।
ধুমাল বলেন, মনোনয়ন দাখিলের আগে সব সিদ্ধান্তেই গাঙ্গুলি যুক্ত ছিলেন। ধুমাল বলেন, “স্বাধীন ভারতে বিসিসিআই-এর এমন কোনও সভাপতি নেই যিনি তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই পদে ছিলেন। এই সব মিডিয়া জল্পনা যে দাদাকে সরানো হয়েছে বা কিছু সদস্য তার বিরুদ্ধে ছিল। সবকিছুই ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, ‘কেউ তার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। বোর্ডের সকল সদস্যরা পুরো দল নিয়ে খুবই খুশি ও সন্তুষ্ট। কোভিড -১৯ দ্বারা উত্থাপিত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বিসিসিআই গত তিন বছরে যেভাবে কাজ করেছে তাতেও সবাই সন্তুষ্ট।
ধুমাল বলেন, ‘ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে দাদার কেরিয়ার দুর্দান্ত ছিল, তিনি ছিলেন সেরা অধিনায়কদের একজন। প্রশাসক হিসাবে, তিনি পুরো দলের সাথে কাজ করেছেন এবং আমরা একটি ইউনিট হিসাবে কাজ করেছি।” তিনি আরও বলেন যে, গাঙ্গুলি যদি আইপিএল চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ করতেন তবে তিনি নতুন দলের অংশ হতে পারতেন না। গাঙ্গুলি পদটি গ্রহণ করেননি বলেই এখন তিনি পরবর্তী আইপিএল চেয়ারম্যান হিসাবে ব্রজেশ প্যাটেলের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
ধুমাল বলেন, “দাদা, রজার এবং যারা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তাদের সঙ্গে ছিলেন। সব কিছু আলোচনা হয়েছে এবং দাদার সাথেও কথা হয়েছে। তাকে আইপিএল চেয়ারম্যান পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অন্যথায় রজার সুযোগ পায় না, তার বয়স ৬৭ বছর (বয়স সীমা ৭০ বছর)।’ তিনি আরও বলেন, সৌরভের পদত্যাগের পেছনে কোনো রাজনীতি নেই। ধুমল বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বাস করি বলে মানুষের বিভিন্ন মতাদর্শ থাকতে পারে। যখন বিসিসিআইয়ের কথা আসে, তখন সকলের মনোযোগ ভারতীয় ক্রিকেটকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেদিকে থাকে।”