এবার কী শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো কাঙাল হবে বাংলাদেশও? এই কারণে আতঙ্কে শেখ হাসিনা

চীনের (China) তরফে আসা ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে বিরাট সমস্যায় পড়েছে বহুদেশে। বহু বিশেষজ্ঞ পাকিস্তান (Pakistan) এবং শ্রীলংকার (Sri lanka) বর্তমান অবস্থার জন্য চীনকে দায়ী করেন। এসময় বাংলাদেশ (Bangladesh) তাদের চীনের সাথে সম্পর্ক নিয়ে বেশ সতর্ক থাকতে চাইছে। চীনা ড্রাগনের ঋণের ফাঁদে পা দিলে যে দেশের অবস্থা কি হবে সেই নিয়ে জ্ঞাত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবারদিন শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন যে, তার সরকার চীনের সাথে উন্নয়নের অংশীদারিত্বের বিষয়ে “বেশ সতর্ক”। সাথে শেখ হাসিনা এও ঘোষণা করেন যে, বিদেশী সাহায্যের জন্য ঢাকা কোনো বিশেষ দেশের উপর মোটেই নির্ভরশীল নয়। ঋণের প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক অথবা এসিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছে হাত পাতে।
চীন থেকে নেওয়া ঋণের বিষয়ে অত্যধিক তৎপর বাংলাদেশ সরকার। বিশ্বের বিভিন্ন ছোট দেশকে অস্বাভাবিক বেশি পরিমাণ ঋণ দিয়ে তাদের ট্র্যাপে ফেলে চীন। ভারতের দুই পড়শী দেশ শ্রীলংকা এবং পাকিস্তান তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের ক্ষতিকর প্রভাবের সম্মুখীন হয়েছে তারা।
বিভিন্ন একনায়কতন্ত্রী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত দেশে এই নিয়ে বেশ সুবিধাও পেয়েছে তারা। ধীরে ধীরে বাংলাদেশও সেইদিকে পা বাড়াতে শুরু করলেও, চীনের কোলে গিয়ে বসার আগেই সতর্ক হন শেখ হাসিনা। CNN এর সাথে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন বাংলাদেশ চীনের কাছাকছি আসছে’। প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এর উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে এমন সমস্ত দেশের খুব কাছাকাছি থাকেন তারা’।
সাথে তিনি আরো বলেন যে, বাংলাদেশ নাকি শুধু চীন নয়, ভারত এবং আমেরিকারও খুব কাছাকাছি রয়েছে। উল্লেখ্য, চীনকে এক অতি গুরুত্বপূর্ন পার্টনার হিসেবে সম্বোধন করে বাংলাভাষী ইসলামিক দেশটি। কারণ চীনের তরফে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণকাজে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এবং তারা মোটেই বাকি দেশগুলোর মতো অপ্রয়োজনীয় ঋণ নিয়ে ফাঁদে পা দেননি।