হারের হ্যাট্রিক করে বিশ্বকাপ ২০২৩ এ বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান (Pakistan national cricket team)। সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা এখনও খুব কঠিন। কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। প্রচুর অংক কষে পা ফেলতে হবে বাবর আজমদের (Babar Azam)। অংক বললেই অনেকের আবার ছাত্র জীবনের কথা মনে পড়ে যায়। কথা যখন উঠল তখন আরও একটু তলিয়ে দেখা যাক। জেনে নেওয়া যাক পাকিস্তান বিশ্বকাপ ২০২৩ স্কোয়াডে থাকা কোনো ক্রিকেটারের শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন।
বাবর আজম: পাকিস্তান অধিনায়ক অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ক্রিকেট কেরিয়ারে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে বিজনেস অব এন্টারটেইনমেন্ট, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্টস (বিইএমএস) নামে একটি এক্সিকিউটিভ এডুকেশন প্রোগ্রাম পরিচালনা করেন।
শাদাব খানঃ ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের জন্য পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক স্নাতক বলে জানা গিয়েছে। তবে তাঁর শিক্ষা সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না।
ফখর জামানঃ ১৬ বছর বয়সে করাচির পাকিস্তান নেভি স্কুলে ভর্তি হন তিনি। এক সময় যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে। তাদের হয়ে খেলেছিলেন। তিনি লেফটেন্যান্টের সম্মান সূচক পদে অধিষ্ঠিত।
ইমাম-উল-হকঃ কিংবদন্তি ইনজামাম-উল-হকের ভাগ্নে লাহোর থেকে মাধ্যমিক এবং পরে বাণিজ্য ডিগ্রি অর্জন করেন।
সালমান আলী আগাঃ এই অলরাউন্ডার হাইস্কুলের স্নাতক বলে জানা গেছে।
ইফতেখার আহমেদঃ এশিয়া কাপ ২০২৩-এর সেঞ্চুরিয়ান স্নাতক এবং পড়াশোনা শেষ করে ক্রিকেটে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
মহম্মদ রিজওয়ানঃ অভিজ্ঞ পাকিস্তানি উইকেটরক্ষকের স্কুল, কলেজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে তিনি বাবর আজমের সাথে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে একটি শিক্ষা প্রোগ্রামে ছিলেন।
মহম্মদ নওয়াজঃ ক্রিকেটের দিকে মনোনিবেশ করার জন্য রাওয়ালপিন্ডির কলেজ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
নাসিম শাহঃ নাসিম শাহ ম্যাট্রিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন বলে জানা গেছে।
শাহিন শাহ আফ্রিদিঃ পাকিস্তানের পেস সেনসেশনের স্কুলের বিবরণ অনিশ্চিত। অল্প বয়সেই ক্রিকেট ক্ষেত্রে প্রবেশ।
হারিস রউফঃ পাকিস্তানের এই পেসার ইসলামাবাদ মডেল কলেজে পড়াশোনা করেছেন এবং কলেজে থাকার সময় ফুটবলার হতে চেয়েছিলেন। ক্রিকেটের প্রতি প্রেম পরে। ইসলামাবাদ ক্রিকেট দলের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।