দরিদ্র চাষির ছেলে থেকে ISRO-র বিজ্ঞানী! চন্দ্রযানে বীরভূমের বিজয়ের কৃতিত্ব জানলে গর্ব করবেন

চাঁদের (Moon) মাটিতে পথচলা শুরু হয়েছে ভারতের (India)। চাঁদে হাটা শুরু করেছে প্রজ্ঞান। কী লুকিয়ে রয়েছে চাঁদের বুকে? তা খোঁজ করতে ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে ISRO। গোটা বিশ্ব যা করে দেখাতে পারেনি ২০২৩-এ সেই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছে ভারত। এবার এই চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan-3) মিশনের সঙ্গে নাম জুড়ল বাংলার (West Bengal)। ইসরোর ‘মিশন মুন’-এর সাফল্যের পেছনে অবদান রয়েছে বাংলার এক বিজ্ঞানীর (Scientist)। তিনি বীরভূমের (Birbhum) বাসিন্দা।

চন্দ্রযান ৩-কে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছানোর জন্য বহু বিজ্ঞানী দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছেন। সেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন বীরভূমের বিজয় কুমার দাই (Bijoy Kumar Dai)। সাধারণ একজন চাষির ঘরের ছেলে হওয়া থেকে বিজ্ঞানী হয়ে ওঠার পথটা মোটেই সহজ ছিল না তাঁর।

প্রথমে চন্দ্রযান ২ তারপর চন্দ্রযান ৩-এর সঙ্গে জড়িত হন বিজয় কুমার দাই। তাঁর কাঁধে ছিল মহাকাশযানটির স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা। কোনো প্রকার গলদ দেখা দিলে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। একপ্রকার তাঁর কাঁধে গুরুগম্ভীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ইসরোর তরফে।

এরপর চাঁদের মাটিতে গতকাল চন্দ্রযান ৩-এর সফল অবতরণের পর অন্যান্যদের মতো তিনিও খুশিতে ফেটে পড়েন। জানা যায়, ইসরোর বিজ্ঞানী বিজয় কুমার দাই বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের দক্ষিণ গ্রামে এক দরিদ্র চাষি পরিবারে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। বাবা নারায়ন চন্দ্র দাই একজন চাষী।

বিজয় কুমার দাই ছোট থেকে গ্রামেরই প্রাথমিক এবং উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াকালীন স্কুলের শিক্ষকরা তাঁর মেধা দেখে অবাক হয়ে যান। এরপর গ্রামের একটি ছোট্ট স্কুল পড়াশোনার পর তিনি যান বেলুড় মঠে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরে পড়াশোনার জন্য। তারপর একে একে কল্যাণী সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে উত্তীর্ণ, গেট পরীক্ষা দিয়ে যাদবপুর ইউনিভার্সিটি থেকে ECE থেকে এমটেক করতে করতে ইসরোতে একজন বিজ্ঞানী হিসাবে ২০০৭ সালে নিযুক্ত হন। একজন বিজ্ঞানী হিসাবে গবেষণা চালাতে চালাতেই তিনি এমটেক সম্পূর্ণ করেন।

এদিকে ছেলে তথা গোটা দেশের সাফল্যে গর্ববোধ করেন বিজয়ের বাবা, মা, পরিবার পরিজন। ইতিমধ্যে নিজের আনন্দের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন বিজয়।