কোটি টাকার রাজপ্রাসাদ! প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের এই বাড়ি তৈরির খরচ জানেন?

চন্ডিপুরঃ হঠাৎ দুর দেখলে মনে হবে কোন মন্দির বা বিশাল বড় কোনো রাজপ্রাসাদ। কেও কেও আবার ভুল করে ভেবে বসেন কোনো রিসর্ট আবার কেও দামী হোটেল বলেও ভেবে নেন দুর থেকে। সামনে গিয়ে বোঝা যায় এই চোখ ধাঁধানো বাড়ির মালিক তৃণমূলের নেতা। তার নাম অমিয় কান্তি ভট্টাচার্য। তিনি স্থানীয় চন্ডিপুর এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক।

সম্প্রতি নেটপাড়ায় ভাইরাল হচ্ছে বিভিন্ন তৃণমূল নেতাদের বিশাল বিশাল অট্টালিকা। তারই মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কান্তিবাবুর বাড়ির সৌন্দর্য আলাদাই মনোরম। বিশাল অট্টালিকা তার। ইতিমধ্যে কান্তিবাবুর বাড়ির বিভিন্ন ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। কোথাও ক্যাপশনে কোথাও পরোক্ষে আবার কোথাও তো একদম স্পষ্টভাবেই লেখা হয়েছে এই বাড়ি তৈরির টাকা উনি পেলেন কোথায়? তবে কি কোনো অসদুপায় অবলম্বন করেছিলেন তিনি? অকাট্য প্রমাণ পাওয়া না গেলেও কানাঘুষো বেশ চলছে এই নিয়ে। এলাকাতে ‘কাবলু বাবুর বাড়ি’ হিসেবে বেশ পরিচিত এই বাড়ি।

বাড়ির আকৃতি অনেকাংশে দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের মতোই। বিরাট এই বাড়িটি প্রায় ৯০০ থেকে ১০০০ বর্গফুট জুড়ে ছড়িয়ে আছে। গোটা বাড়িটির রং সম্পূর্ন সাদা। তবে অমিয়বাবু বলেন যে, এই বিরাট অট্টালিকায় রয়েছে মোট ৪টি ঘর। অমিয়বাবু অবশ্য বলেন যে, বিরোধীদের কাজই হলো বিরোধিতা করা। তাদের বাড়িটি জমিদারি বাড়ি। আগে থেকেই এই পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তাদের। তার মতে এই বাড়ি নিয়ে প্রচার করার কোনো মানেই নেই। তাদের এলাকা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বেশ উন্নত। এবং তার আরও দাবি যে, গোটা এলাকা ঘুরে দেখলে পাওয়া যেতে পারে এরকমই বা এর চেয়েও আরো ভালো ভালো বাড়ি।

তিনি বলেন, ‘বিরোধীদের চরিত্র বিরোধিতা করা। আমাদের জমিদার বাড়ি। আগে থেকেই জমি জায়গা রয়েছে আমাদের। এছাড়া নিজের সঞ্চয় রয়েছে। আশি থেকে নব্বই বিঘার ফিশারি রয়েছে। আরও নানা ধরনের আয়ও রয়েছে। তাই এই বাড়ি নিয়ে প্রচার করার কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না।’ অমিয়বাবু আরও বলেন, “আমাদের এলাকা অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত। ঘুরে দেখলে দেখা যাবে আমার বাড়ি অনেক ছোট। এর থেকেও অন্যান্যদের আরও বড় বাড়ি রয়েছে।”

87455693 503904670526512 2021197938616696832 n

তবে এই প্রসঙ্গে এলাকার স্থানীয় বিজেপি নেতা পুলক গুড়িয়া বলেন, “শুনেছিলাম দু’তিন বছর আগে এবি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসা শুরু করেছেন। তৃণমূলের উন্নয়নের ছোঁয়া শুধু বিধায়ক নয়, পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। বেনামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। তা ওনার প্রাসাদ দেখলেই বোঝা যায়।