মানুষের শিকার করতে পৃথিবীতে আসছে এলিয়েনরা! NASA-র বিজ্ঞানীর দাবিতে চাঞ্চল্য

ভিনগ্রহের জীব নিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই। অন্য কোথাও প্রাণ রয়েছে কিনা, থাকলেও তারা কেমন এই নিয়ে লাখো চিন্তা আমাদের। তবে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, এরকম বহু বিজ্ঞানী রয়েছেন যাদের কাজই হলো এলিয়েন খুঁজে বের করা। বহু বছর ধরে ভিনগ্রহীদের খোঁজার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন হাজারো বিজ্ঞানী। কানাঘুষোয় শোনা যায় যে, আমেরিকার চূড়ান্ত গোপন ‘এরিয়া ৫১’ এ নাকি এলিয়েন রয়েছে। তবে এইবার এমন এক তথ্য সামনে এনেছেন এইসব বিজ্ঞানীরা, যাতে ঘুম উড়ে গিয়েছে সবার। সাম্প্রতিক নাসার এক বিজ্ঞানী তুলে ধরেছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। কি সেই ব্যাপার? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আসলে এই বিজ্ঞানী জিম গ্রিন প্রায় ৪০ বছর ধরে যুক্ত ছিলেন আমেরিকার বিখ্যাত মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাথে। তার দাবি যে, আর মাত্র কয়েকটা বছর, তারপরই সারা পৃথিবী নাকি আসতে চলেছে এলিয়েনদের হাতের মুঠোয়। এর জন্য তুমুল সংঘর্ষ হবে এলিয়েন এবং মানুষের মধ্যে। এজন্য মারা যেতে পারেন লাখো মানুষ। আসলে নাসা বহু বছর ধরে ভিনগ্রহীদের উপস্থিতি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য নাসার সাথে দীর্ঘ ৪০ বছর যুক্ত থাকা ওই ব্যক্তির দাবি ইতিমধ্যে ভাইরাল নেট মাধ্যমে।
কিন্তু বিজ্ঞানী গ্রিনের ওই দাবি শুনে কার্যত ঘুম উড়েছে নেটিজেনদের। এই দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে সারা পৃথিবীবাসীর সামনে যে কয়েক বছরের মধ্যেই নেমে আসতে চলেছে চূড়ান্ত বিপদ, তা আর বলার কোনো প্রয়োজন নেই। আসলে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ভিনগ্রহীদের সাথে যোগাযোগের তুমুল চেষ্টা চালাচ্ছে নাসা। এমনকি এও জানা গিয়েছে যে, ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য নাকি এক প্রকল্প শুরু করেছে তারা। যে প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে, “Beacon in the Galaxy” (BITG)। এই প্রকল্পের অধীনে বহু পুরুষ এবং নারীর বিবস্ত্র ছবি পাঠানো হবে মহাকাশে।
এদিকে, এরই মধ্যে কিছুদিন আগে ইংল্যান্ডের লিভারপুলের এক মহিলার দাবি যে, তিনি দেখা পেয়েছেন এলিয়েনদের। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম তুলেও ধরে তার সেই বক্তব্য। সেখানে বর্ষীয়ান ৫১ বছরের Sacha Christie জানিয়েছিলেন যে, যখন তাঁর মাত্র ৭ বছর বয়স ছিল তখনই তিনি নাকি দেখে নিয়েছিলেন মোট ৯ খানা এলিয়েন। শুধু তাই নয়, তার মাথায় প্রশ্ন ঘুরতে থাকে যে শুধুমাত্র তাকেই কেন বিরক্ত করছে এলিয়েনরা? তবে শুধু তিনি একা নয়, পৃথিবীর বহু জায়গাতেই শোনা গেছে এলিয়েনের দেখা পাওয়া। এই অবস্থাতে সারা পৃথিবীর কার্যত চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীর।