ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) বেঁচে থাকলে আজ ২৫ বছরে পা দিতেন তিনি। কিন্তু দু’বার ক্যান্সারকে পরাজিত করলেও ব্রেন স্ট্রোকের কারণে চলে যেতে হয় তাকে। ওপরের দুনিয়ায় চলে যাওয়ার পর এটাই তার প্রথম জন্মদিন। আর সেই কারণে ঘুমোতেও পারছেন না ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা।
আবার তার দিদি ঐশ্বর্য শর্মা স্মৃতির উপহারে সাজিয়েই বোনের জন্মদিন সেলিব্রেট করলেন। পুরোনো জন্মদিনের ছবি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। সমস্ত ছবির কোলাজ বানিয়েছেন ঐশ্বর্য শর্মা। সেখানে দেখা যাচ্ছে সব্যসাচী চৌধুরীকেও (Sabyasachi Chowdhury)।
বোনের লড়াইতে তার পাশেই ছিলেন ঐশ্বর্য্য। তার শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায় গত বছরের জন্মদিনের সেলিব্রেশন। সেখানে দেখা যাচ্ছে ঐন্দ্রিলা, ঐশ্বর্য, সব্যসাচী আর ঐন্দ্রিলার বাবাকে। সেবার জন্মদিনে আবার দু’টি কেক কাটেন ঐন্দ্রিলা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ক্যামেরার সামনে আসতে চাননি সব্যসাচী।
পরে ঐন্দ্রিলা চোখের ইশারায় তাকে ডেকে নেন। দুই বোনের খুনসুটিও সামনে আসে। বোনকে চুমুতে ভরিয়ে দিয়েছিলেন দিদি। সেবার এভাবেই জন্মদিন পালন করেন। এদিকে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত শিখা শর্মার মন খুবই ভারাক্রান্ত। এক সংবাদমাধ্যমকে নিজের মন খারাপের কথা জানিয়েছেন তিনি।
শিখাদেবী বলেন, “২৫ বছর আগে এ দিন সকাল ৭টা ৩৪-এ আমার মিষ্টি জন্মেছিল। ফুটফুটে সুন্দর দেখতে। কী ফর্সা। আমার সেই ছোট্ট মিষ্টিটাকে নিজের কাছে রাখতে পারলাম না। শনিবার রাত থেকে ঘুমোতে পারছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। ওর জন্মদিনে নিজের হাতে মিষ্টির পছন্দের রান্না করতাম। পাঁচ রকম ভাজা, মাছ, মাংস। ও আবার চিংড়ির মালাইকারি খেতে খুব ভালবাসত।”
আবার কিছুক্ষণ থেমে শিখা দেবী আরো জানান, “হ্যাঁ, আজ (রবিবার) হয়তো সব্যসাচী আসত। কিন্তু আমায় ফোন করেছিল সব্যসাচী। শনিবার থেকে ওর ধুম জ্বর। ১০৩ জ্বর উঠে গিয়েছে প্রায়। তাই আমায় বলল আসতে পারছি না। নিশ্চয়ই আজ ডাক্তার দেখাবে।” শেষে কান্নাভেজা গলায় তিনি বলেন “আমি ভগবানের কাছে সুস্থ সন্তান চেয়েছিলাম। দীর্ঘায়ু চাইনি বলে কি আমার সঙ্গে এমনটা হল? সবটাই আমার জীবনে স্মৃতি হয়ে রয়ে গেল।”