‘এটা কী বয়স …” মুখ্যমন্ত্রীর থেকে মেয়ের নামে মরণোত্তর সম্মান পেয়ে ভেঙে পড়লেন ঐন্দ্রিলার মা

ফের শিরোনামে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল টেলি একাডেমি ২০২৩ অ্যাওয়ার্ড শো (Academy awards)। এটি একটি ঘটনাবহুল শো ছিল যা টলি তারকাদের সমাগমে ভরপুর হয়ে উঠেছিল।

তবে আনন্দের থেকে বেশি এইদিনটা কান্নায় পরিণত হয়। কেন জানেন? এই বছর পুরষ্কার প্রাপকদের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁকে মরণোত্তর পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। মৃত মেয়ের ছবি হাতে যখন বাবা-মা স্টেজে দাঁড়িয়ে মেয়ের কথা ভেবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তখন সেখানে উপস্থিত থাকা অন্যান্য কলাকুশলীরা নিজেদের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।

এদিন ঐন্দ্রিলার বাবা উত্তম শর্মা ও মা শিখা শর্মা মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।  দীর্ঘ সংগ্রামের পর ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। অল্প বয়সে তাঁর চলে যাওয়া এখনও বহু মানুষ থেকে শুরু করে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি মেনে নিতে পারেনি।

বাবা, মা, দিদি ছাড়াও ঐন্দ্রিলার দীর্ঘ লড়াইয়ে তাঁর সঙ্গে ছিল সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলার পুরস্কার পাওয়া নিয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন,  “২৫ বছর সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ও চলে গেল। এর মধ্যে ও যে কটা কাজ করেছে তাতে ওকে মানুষ মনে রেখেছে। একজন শিল্পী হিসাবে এটা বিরাট প্রাপ্তি। ওর বাবা মা এসেছিলেন। এটা তাঁদের কাছে একদিকে যেমন কষ্টের মুহূর্ত, তেমন গর্বেরও বটে।”

এদিকে মেয়ের মরণোত্তর সম্মান পাওয়া নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঐন্দ্রিলা শর্মার মা শিখা শর্মা। তিনি জানান, “পুরস্কার নিয়ে একটুও ভাল লাগেনি। এটা কি বয়স মরণোত্তর সম্মান পাওয়ার বয়স আমার মেয়েটার? খুব কষ্ট হচ্ছে। এমন সম্মান তো মঞ্চে উঠে ওর ছেলেমেয়ের নিতে যাওয়ার কথা ওর বয়সকালে। সেখানে আমাদের নিতে হল। এই কষ্টটা যে কী করে কমবে, কিছুতেই বুঝতে পারছি না। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিকতার জবাব নেই।”