তাঁর চলে যাওয়া এখনও কেউ মেনে নিতে পারেনি। কয়েকদিন আগের কথাই যেন, একটা জলজ্যান্ত মেয়ে হেঁটেচলে বেড়াচ্ছিল সর্বত্র। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও একটু একটু করে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু পর মুহূর্তেই যেন সেই মেয়েটা চলে গেল। বুঝতে পারছেন না কার কথা হচ্ছে? আজ এই প্রতিবেদনে কথা হচ্ছে প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মাকে (Aindrila Sharma) নিয়ে।
হাসপাতালে টানা ১৯ দিন ধরে যমে মানুষে টানাটানির পর সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান এই অভিনেত্রী। ব্রেইন স্ট্রোকের কাছে হার মানতে হয় এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে। তাঁর চলে যাওয়া আজও মেনে নিতে পারেননি দর্শক থেকে শুরু করে অভিনেত্রীর বাবা, মা, দিদি ও প্রেমীক সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। কঠিন সময়ে অভিনেত্রীর পাশে ছিলেন আরও এক বন্ধু।
আর সেই বন্ধু হলেন ইন্ডাস্ট্রিরই একজন। তিনি আর অন্য কেউ নন, সেই ব্যক্তি হলেন বিখ্যাত অভিনেতা সৌরভ দাস (Sourav Das)। কঠিন সময়ে সব্যসাচীর পাশাপাশি ঐন্দ্রিলার একদম ছায়াসঙ্গী হয়ে উঠেছিলেন সৌরভও। ঐন্দ্রিলার এহেন চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি তিনিও। আজকের দিনেই সকলকে কাঁদিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুবার্ষিকী সম্পর্কে অভিনেতা সৌরভ জানান, ‘কাজ করার সময় ঐন্দ্রিলার সঙ্গে আমার জমাটি বন্ধুত্বটা হয়নি। তবে ও যে ফাইটার তা জানতাম। আমার মাও বলত সেই কথা। ওর সঙ্গে আমার বন্ধুত্বটা জমল যখন সব্যসাচী আর আমি ক্যাফেটা করলাম। এমন অনেক সময় হয়েছে যে অনেক ভিড় হয়েছে সেখানে, সেই সময় সাহায্যের জন্য মিষ্টি এগিয়ে এসেছে।’
সৌরভ আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল ও যেমন ফাইট করে বারেবারে ফেরত আসে তেমনই আসবে। ১৪ দিন হাসপাতালে ছিলাম সব্য, আমি ও আমাদের এক বন্ধু। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটা ঘর দিয়েছিল। তিনটে সোফা ছিল। রাতে সেখানে শুয়ে থাকতাম। আমি ক্যাফে থেকে ফেরার সময় খাবার নিয়ে যখন আসতাম অনেক সময় দেখতাম সব্য ওয়েটিং রুমে নেই। ও পাঁচতলায় একটা ছোট্ট টুলে বসে রয়েছে। ভেতরে মিষ্টি। আমি গেলেই বাচ্চাদের মতো বলে উঠত, জানিস আজ আঙুলটা মুভ করেছিল। মানুষ চাঁদে যাচ্ছে। মহাকাশে যাচ্ছে। আরও কত কিছু করছে। কিন্তু, একটা আঙুল নাড়া মানে যে কতটা প্রাপ্তি তা সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম।’