বিতর্ক আর রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi) প্রায় সমার্থক শব্দ রূপে প্রতিপন্ন হচ্ছেন এখন। আলপটকা মন্তব্য করে যে বিপদে পড়েছেন রূপঙ্কর বাগচী তার ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন তিনি। “who is kk’’, প্রশ্ন করার পর তাকেই ব্রাত্য করে দিয়েছে বাংলার আপামর জনগণ। আসলে রূপঙ্কর বাগচীর সেই কটাক্ষের কিছু পরই প্রয়াত হন বলিউডের বিখ্যাত গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (KK)। আর তার অনুরাগীদের সেই শোক, রাগ গিয়ে পড়ে রূপঙ্কর বাগচীর ওপর।
প্রথমে কিছুদিন প্রচারের আলো থেকে দূরে চলে গেলেও, পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। সেই বিতর্ক কিছুটা ধামাচাপা পড়তে না পড়তেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে গানচুরির! মনোরমা ঘোষাল নামের এক ইউটিউবারের গান চুরি করায় তার বিরুদ্ধে নিউটাউন থানায় শুরু হয় কেস। কিন্তু সেই বিতর্কও যেন কিছুটা থামতেই শুরু হয় আরেক ঝামেলা। এবারেও সূত্রপাত করেন তিনিই।
মঙ্গলবার তিনি ফেসবুক আবার পোস্ট করতে শুরু করেন। তিনি লেখেন যে, “আমি ফাটলে…।” ক্যাপশনের সাথে খাসা একখানা ছবিও জোড়েন তিনি। আর সেইখান থেকেই আবারো তাকে নিয়ে শুরু হতে থাকে ট্রোল। এবার তাকে আবারো নিজেদের বাক্যবাণে ছিন্নভিন্ন করে দেয় নেটপাড়ার মানুষজন। একজন তাকে উদ্দেশ্য করে লিখেন যে, “আপনাকে অসম্মান করার যোগ্যতা রাখি না। তবে জ্ঞানীগুণী মানেই পারফেক্ট নয়। তাঁদের মানসিক চিন্তা সবসময় সুন্দর হয় না, তার উদাহরণ আপনি।”, আবার কারো মনে প্রশ্ন কেন তিনি নিজেকে নিয়ে খিল্লি করছেন! কিন্তু এরমধ্যে একজন তাকে আবার বাংলাদেশের নোবেলের সাথে তুলনা করে বলেন যে,” আপনার অবস্থাটা ঠিক বাংলাদেশের নোবেলের মতো হয়ে গিয়েছে। যতই চেষ্টা করুন, আপনি থাকছেন না স্যার!”
কিছুদিন আগে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে সকলের মন জয় করে নিলেও সেই ভালোলাগা যে বেশিদিনের নয় সেকথা হয়তো খোদ রূপঙ্কর নিজেও বুঝতে পারেননি। তিনি এক সাক্ষাতকারে বলেন যে, “প্রশংসা হচ্ছে এতেই আমি ধন্য। যাঁরা আমার প্রশংসা করছেন,তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ থাকলাম। তাঁরাই আমার শ্রোতা। যাঁরা আমার প্রশংসা করেন নি, তাঁরাও আমার শ্রোতা। তাঁদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ থাকলাম।” কিন্তু ওই শেষ, আবারো তাকে নিয়ে ধিক্কার শুরু করেছে সারা নেটপাড়া।