ফল ও সবজির জন্য হাহাকার! পাকিস্তানের মতোই চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন এই দেশ

আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান (Pakistan) এর অর্থনৈতিক সংকট অবস্থার কথা আর বলার প্রয়োজন নেই। কাঙাল অবস্থা পাকিস্তানের অর্থনীতির। বিভিন্ন দেশের কাছে ভিক্ষার বাটি হতে নিয়ে গেলেও লাভ হয়নি। আপাতত ইহুদি রসচাইল্ড পরিবারের হাতে পাকিস্তানের ভাগ্য রয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদী দেশটিকে নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করছিনা, আমাদের আলোচ্য বিষয় গ্রেট ব্রিটেন (Gret Britan)।
হ্যাঁ সেই ব্রিটেন যারা ২০০ বছর ধরে ভারতের ওপর শোষণ করেছে। লক্ষ লক্ষ ভারতীয়কে অত্যাচার নিপীড়ন করেছে যে দেশটি। সেই ব্রিটেনের অর্থনৈতিক অবস্থা পাকিস্তানের থেকে কোনোঅংশে ভালো নেই। একটা সময় বলা হত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যায়না। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেই ব্রিটেনের ওপরেই নেমে এসেছে কালো গহীন অন্ধকার!
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যে, ভারতের ওপর ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করার পরই ফুলেফেঁপে ওঠে ব্রিটেন। ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়ার পর থেকেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধঃপতন শুরু হয়। একইসাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ক্ষমতার কেন্দ্রও ব্রিটেন থেকে চলে যায় ওয়াশিংটনে। ফলে সবদিক থেকেই দিশেহারা হয়ে পড়ে দেশটি।
শোষণ, নিপীড়ন, বঞ্চনার ওপর যাদের সাম্রাজ্য প্রতিস্থাপন হয়, সেই দেশ যে সময়ের অচিরে হারিয়ে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। আর বর্তমানে ব্রিটেনের অবস্থা পাকিস্তানের থেকে কোনো অংশে ভালো কিছু নয়। মুদ্রাস্ফীতির শিকলে চাপা পড়ে অবস্থা খারাপ হয়েছে তাদের।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, ব্রিটেনের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত সংকীর্ণ। এমনকি দেশের ছোট বড় সুপার মার্কেটে রেশন দেওয়া হচ্ছে। সেখানে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কেওই বেশি পরিমাণে আলু, টমেটো বা অন্য কোনো সবজি কিনতে পারবে না। কৃষিকাজ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু নিয়েই সমস্যা হয়েছে।
ব্রিটেনের মুষ্টিমেয় কৃষিকাজ সেদেশের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এদিকে কোষাগারের যা অবস্থা তাই দিয়ে বাইরের থেকে কিছু কেনাও সম্ভব হচ্ছেনা। খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটেনের কৃষকরা চাষবাসের যায়গায় অন্যান্য কাজে বেশি মনোযোগ দিয়েছে। আর তার চলে কিছুদিন পরে পাকিস্তানিদের মতোই অবস্থা হবে ব্রিটেনবাসীর। শীঘ্রই তাদের পাত থেকেও হারিয়ে যেতে চলেছে টমেটো, পেঁয়াজ, আলু ইত্যাদি।