পাকিস্তানের থেকেও খারাপ অবস্থা এই মুসলিম দেশের! দেউলিয়া থেকে বাঁচতে বিক্রি করছে নাগরিকতা

একের পর এক দেশ ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রবেশ করছে। মুদ্রাস্ফীতির মতো সমস্যার কারণে ধীরে ধীরে সমস্যা বেড়েই চলেছে। ভারতে (India) সেরকম প্রভাব না পড়লেও বাইরের দেশগুলোতে ভালই ভোগান্তি শুরু হয়েছে। সবচেয়ে শেষে মিশরের (Egypt) অবস্থাও বেহাল হয়েছে।
বেহাল অবস্থা থেকে বাঁচতে এক অনন্য পদক্ষেপ নিয়েছে মিশর সরকার। মিশর সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দেশে কমপক্ষে আড়াই মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করলেই তারা মিশরের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ব্যপক বিরোধিতা করা হচ্ছে। কিন্তু মুদ্রাভান্ডারকে শক্তিশালি করতে এর থেকে কোনো সহজ উপায় ভাবতে পারেনি সরকার।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ২৬.৫% এ পৌঁছেছে সেদেশে। এসবের মধ্যে এই নাগরিকত্ব বিক্রির এই ফর্মুলা কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে গভীর জল্পনা চলছে। যদিও মিশর সরকার কাগজে রীতিমত বিজ্ঞাপন দিয়েছে এই বিষয়ে। সেখানে বলা হয়েছে কোনো বিদেশি নাগরিক চাইলেই রিয়েল এস্টেটে তিন লাখ ডলার বিনিয়োগ করে দেশের নাগরিকত্ব কিনে নিতে পারেন।
সরকার এই সম্পর্কে দুটি শর্তের বিষয়ে জানিয়েছে। প্রথমটি হলো কমপক্ষে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার বিনিয়োগ অথবা রাজস্ব আকারে ২ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার জমা দিলেই নাগরিকত্ব মিলবে। দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিশরের সরকার। মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ২৬ শতাংশ পেরিয়ে যাওয়াতে গভীর চিন্তায় মধ্যে রয়েছে সরকার।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দেশের এই অবস্থা হয়েছে। গত ২০১৪ সাল থেকে রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সরকার মেগা প্রোজেক্ট চালাচ্ছে। যার মধ্যে সুয়েজ খালের সম্প্রসারণের মতো প্রকল্পও রয়েছে। এছাড়া ৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি হচ্ছে নতুন রাজধানী। এসমস্তকেই দায়ী করা হচ্ছে দেশের এরকম অবস্থার জন্য।
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, সেনাবাহিনী নামিয়ে এসব কাজ করার জন্য বিরোধিতা চালাচ্ছে সেদেশের জনগণ। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, পাকিস্তানের থেকে খুব বেশি ভালো অবস্থানে নেই মিশর। দুই ইসলামিক দেশের সামনেই অপেক্ষা করছে অন্ধকার ভবিষ্যত!