ফের শখানেক, আবারও রাজ্যে চাকরি গেল শিক্ষকদের! হাইকোর্টের নির্দেশের পর অ্যাকশন পর্ষদের

দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো মিটতেই চরম সিদ্ধান্তের পথে হাঁটলো কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উৎসবের আবহে এক প্রকার মাথায় বাজ ভেঙে পড়ল বহু শিক্ষক, শিক্ষিকার (Teacher)। কারণ কলকাতা হাইকোর্ট এমনই এক রায় দিয়েছে যা দেখে আগেই সকলেই চমকে গিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের রায় এবার চাকরি গেল বহু প্রাথমিক শিক্ষক, শিক্ষিকার।

   

বিগত দেড় বছর ধরে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডকে ঘিরে এক প্রকার উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য। এই শিক্ষক দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলের রয়েছেন রাজ্য সরকারের একের পর এক হেভিওয়েট। এসএসসি থেকে শুরু করে টেট-এ দুর্নীতি…. বারবার শিরোনামে উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না।

শিক্ষক নিয়োগকে দুর্নীতির কান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার জেরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এখন জেলে বন্দী রয়েছেন। এদিকে তার আমলে নিয়োগ হওয়া শিক্ষকদের এক প্রকার কপাল পুড়লো কারণ ৯৪ শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education) জানা গিয়েছে ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে নিয়োগ হওয়া এই শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের নির্দেশিকা গতকাল রাতে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলায় ডিপিএসসি চেয়ারম্যানদের।

অভিযোগ ছিল এই শিক্ষক শিক্ষিকারা টেট ছাড়াই শিক্ষকতার কাজ এতদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছিলেন এরপরই বিষয়টি নজরে আসে সিবিআইয়ের এরপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নড়েচড়ে বসে পর্ষদের তরফে ওই চাকরিপ্রার্থীদের ডেকে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। তারপরেই উঠে আসে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।

teacher

সব থেকে বড় বিষয় হলো ইতিমধ্যে একাধিক ডিপিএসসি চেয়ারম্যান এই চিঠি প্রার্থীর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা জানিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্টের নির্দেশিকার পরেই এই শিক্ষক চাকরি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।