শিক্ষক নিয়োগে একের পর এক দুর্নীতির মাঝেই অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হল হাজার হাজার চাকরি প্রার্থীদের। আজ ৬ নভেম্বর, আর আজই হল সেই চূড়ান্ত দিন যেদিন রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন হাজার হাজার হবু শিক্ষক। কেন জানেন? আজ থেকে অবশেষে শুরু হল উচ্চ প্রাথমিকে কাউন্সেলিং। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) অনুমোদনের পর পশ্চিমবঙ্গ সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন ৬ নভেম্বর থেকে কাউন্সেলিং শুরু হল। এটি ছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত একটি বিষয়। জানা গিয়েছে, আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে।
এটিকে একটি ইতিবাচক এবং সঠিক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করে কমিশনের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ৩০ অক্টোবর অফিস পুনরায় খোলার পরে এর জন্য কল লেটার জারি করা হয়। কমিশনের ওয়েবসাইটে সমস্ত জিনিস আগেই আপলোড করে দেওয়া হয়েছিল যাতে চাকরি প্রার্থীদের কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য। জানা গিয়েছে, আজ প্রথম পর্যায়ে, ৯০০০ চাকরি প্রার্থীদের কাউন্সেলিং হবে। ১৩ হাজারেরও বেশি চাকরি প্রার্থী কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে স্কুল বেছে নেবেন।
এসএসসির নবনির্মিত ভবনে উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভবে পা রাখার আগে প্রার্থীদের এসএসসি প্রশিক্ষণ থেকে ডিগ্রি, এমনকি কাস্ট শংসাপত্র সবকিছু দেখা হচ্ছে।এর পাশাপাশি উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং এর জন্য একটি নতুন ব্যবস্থা করল কমিশন, যা দেখে সকলেই একপ্রকার চমকে গিয়েছেন বৈকি।
SSC সূত্রে খবর, এই কাউন্সেলিং চলাকালীন, বড় পর্দার মাধ্যমে স্কুল অ্যালার্ট দেওয়া হবে। এছাড়া কমিশনের পক্ষ থেকে সব তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। এই বিশেষ পদক্ষেপটির বিষয়ে মুখ খুলেছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি বলেন, “আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু হচ্ছে। প্রার্থীদের সুপারিশের চিঠি দিতে না পারলেও স্বচ্ছতার প্রমাণ হিসেবে তাদের একটি সম্মতিপত্র দেওয়া হবে। এই সম্মতি পত্রে উল্লেখ থাকবে তিনি কোন স্কুলটি বেছে নিয়েছেন। পরে আদালত অনুমতি দিলে এই সকল প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দেওয়া হবে।“