সময় খারাপ! ৫৬ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির পর আরও একটি বড় ঝটকা খেলেন গৌতম আদানি

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে ধনকুনেরদের ওপর। আর তার প্রভাব পড়েছে দেশীয় ধনীদের ওপরেও। আর এই ঘটনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তির স্থান থেকে এখন তিনি চতুর্থ স্থানে নেমে এসেছেন। ফোর্বসের রিয়েল টাইম বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় জেফ বেজোস এবং বার্নার্ড আর্নল্ট আবারো আদানিকে ছাড়িয়ে এগিয়ে গিয়েছেন।
তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইলন মাস্ক। তার সম্পদ ঘাটতি হলেও নিজের শীর্ষস্থান বজায় রেখেছেন তিনি। এদিকে প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারের পতনের প্রভাব পড়ে ভারতীয় শেয়ার বাজারের ওপর। ক্ষতি হয় গৌতম আদানির। একেবারে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ স্থানে নেমে যান তিনি।
পরে মার্কিন স্টক মার্কেটে উত্থান হলেও ভারতীয় শেয়ার বাজার তখনও সেই ক্ষতির প্রভাব রয়ে যাওয়ায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন আদানি। প্রসঙ্গত বুধবার দেশের স্টক মার্কেটের সূচক ৫০৯ পয়েন্ট পড়ে গত দুই বছরের সর্বনিম্ন ৫৬,৫৯৮ তে বন্ধ হয়। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের পাশপাশি ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ ১৪৯ পয়েন্ট পড়ে গিয়ে ১৬,৮৫৮.৬০ তে নেমে যায়।
বুধবার, আদানি গ্রুপ, আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্ট, আদানি পাওয়ার, আদানি উইলমার, আদানি গ্রীনের শেয়ার পতন হওয়ায় আদানিকে এতটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। ফোর্বসের তালিকায় তার পতন সর্বাধিক হয়েছে। বুধবার, আদানি শীর্ষ ১০ বিলিয়নেয়ারের মধ্যে একমাত্র ব্যক্তি যার সম্পদ কমেছে ১.৮৫ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে যেমন রকেট গতিতে এগিয়ে ছিলেন গৌতম আদানি। ঠিক সেই হারেই কমে গিয়েছে তার সম্পদের পরিমাণ। শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছেন ইলন মাস্ক। তার সম্পদের পরিমাণ ২৬৩.২ বিলিয়ন ডলার। এরপর ১৪২.৯ বিলিয়ন ডলার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বার্নার্ড আর্নল্ট, আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন অ্যামাজনের সিইও জেফ বেজস। তার সম্পত্তির পরিমান ১৩৬.৫ বিলিয়ন ডলার।