আরও ফাঁসলেন আমির খান, এবার উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! বরবাদ হতে পারে গোটা কেরিয়ার

বক্স অফিসে আমির খানের (Aamir Khan) বিরাট ভরাডুবি হয়েছে। একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে লাল সিং চাড্ডা। সিনেমা মুক্তির আগে দর্শকদের হাতে পায়ে ধরতে বাকি রেখেছিলেন তিনি, কিন্তু তবুও দর্শকরা মোটেই কথা শোনেনি ক্রন্দনরত আমির খানের। ভারতীয় সংস্কৃতি এবং হিন্দু ধর্মকে অপমান করার এবার সঠিক শিক্ষা পেয়েছেন তিনি! দাবি ছিল একাংশের! আর এরই মধ্যে নতুন বিতর্কে জড়িয়েছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট।

   

ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ এক জৈন উৎসবের সময় তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন আর তাই নিয়ে বেড়েছে বিতর্ক। আসলে জৈন সম্প্রদায়ের পরয়ুশনের সময় সবাই জেনে বা না জেনে করে থাকা ভুলের ক্ষমা চেয়ে নেন। সেরকমভাবেই পরয়ুশনের শেষ দিনে অর্থাৎ সম্বতসরিতে ভিডিও পোস্ট করে আমির খান প্রোডাকশনস। আর সেই ভিডিও নিয়েই তৈরি হয় হাজারো বিতর্ক।

আসলে আমির খান প্রোডাকশনের তরফে যে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয় সেখানে স্ক্রিনে লেখার সাথে সাথে ফুটে ওঠে একটি ভয়েসওভারও। আর সেই ক্লিপিংসের মধ্যে থাকা হাজারও ভুল এখন জনগণের সামনে চর্চার বিষয়। ভিডিওটি ৪ সেকেন্ড পর্যন্ত গেলে শোনা যাচ্ছে ‘হাম সব ইনসান হ্যায়’, কিন্তু স্ক্রিনে তখন ফুটে উঠছে insaan এর জায়গায় insane। এবার সেই লাইনের অর্থ করলে পুরো মানেটাই অন্যরকম দাঁড়াচ্ছে।

ভয়েস ওভার এর বাংলা তর্জমা করলে বোঝা যায় যে তারা বলতে চেয়েছেন আমরা সবাই মানুষ, আর স্ক্রিনে লেখা অর্থের বাংলা তর্জমা করলে সেটাই দাঁড়াচ্ছে আমরা সবাই পাগল অথবা কাণ্ডজ্ঞানহীন। সাথে সেখানে আজব সব ইমোজি ব্যাবহার করা হয়েছে। যা দুঃখ তো নয়ই, বরঞ্চ বেশ হস্যস্পদ করে তুলেছে পুরো ক্ষমা চাওয়ার বয়ানকে। এছাড়া পরের লাইনে ক্ষমা এর ইংরেজি বানানে লেখা হয়েছে ‘Sama’।

আমির খানের এতবড় টিমের এই ভুল দেখে জনতা তো রীতিমত খাপ্পা। আমির খানের প্রোডাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে যে, যদি চার বছর ধরে একটা বাজে ছবি বানানোর ধৈর্য থাকে আমির খানের, তাহলে একটা প্রুফ চেক করার সময় পাননি তিনি? এছাড়া ‘কাল হো না হো’-র ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এর সাথে শাহরুখ খানের ভঙ্গিতে ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারটাও পছন্দ করেননি নেটিজেনরা।

screenshot 2022 09 01 at 3.41.40 pm

এদিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষেপে গিয়েছেন জৈনরা। এর আগেও বহুবার ভারতীয় রীতিনীতি বেশ মজা করেছেন তিনি, আবার এইভাবে জৈন উৎসবের সময় মজা করাতে জনগণের রাগ উলটে বেড়ে গিয়েছে। ফলে আগামীতেও যে আমির খানের কোনো সিনেমা বক্স অফিসে চলবে, তা ভাবার কোনো যৌক্তিকতা নেই।