গার্লফ্রেন্ড IAS হয়েই বদলে ফেলেন নম্বর! অবাক করবে UPSC-তে পাঁচবার ফেল করা যুবকের কাহিনী

ভারত (India) তো বটেই, সারা বিশ্বের কঠিনতম পরীক্ষাগুলোর একটা হলো UPSC (Union Public Service Commission)। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এই পরীক্ষাতে। তাদের মধ্যে খুব কম জনই পারে সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে। এহেন পরীক্ষাতে অনেকেই আবার প্রথম চেষ্টাতেই বাজিমাত করে দেয়, কিন্তু কেও বহু প্রচেষ্টাতেও ব্যর্থ হয়। কিন্তু আজ আমরা এমন একজনের ব্যাপারে জানাবো, যার ব্যাপারে জানলে অবাক হবেন আপনারা।
বিহারের শিক্ষার্থীরা আইএএস (Indian Administrative Service) পরীক্ষাতে বরাবরই সফলতা অর্জন করে। ঠিক সেরকমই দীর্ঘ ১১ বছর ধরে UPSC এর প্রস্ততি নিচ্ছিলেন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা হরেন্দ্র পান্ডে। কিন্তু প্রত্যেকবারই পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে খালি হতে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। এদিকে জলের মত খরচ হতে থাকে টাকা। প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয় তার।
নিজের লক্ষ্যপূর্ণ করতে এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এদিকে তাঁর একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করেছেন এক ব্লগার। সাক্ষাৎকারে তিনি জীবনের সমস্ত দিকের কথা তুলে ধরছেন। পাশাপাশি, বন্ধুরা এবং তাঁর বান্ধবী সফলতা পাওয়ার পরেও নিজে ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়ে হাসিমুখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও ক্লিপ। সেখানে হরেন্দ্র পান্ডে জানিয়েছেন যে, তাঁর একজন বান্ধবী ছিলেন যিনি বর্তমানে দেশের একজন নামী IAS অফিসার হয়ে গিয়েছেন। আর তার পর থেকে হরেন্দ্রর সাথে সেই IAS বান্ধবী যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছেন। হতদরিদ্র হরেন্দ্র তাই নিজের মনের দুঃখ মিশিয়ে ব্লগারকে জানান যে, সফল হওয়ার পর মানুষের মন বদলে যায়। আর তার সেই বান্ধবী এখন শুধু যে নাম্বার বদলে দিয়েছেন তাই না, সেই সাথে হরেন্দ্রকে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ব্লকও করে দিয়েছেন।
শেষবার কথা হওয়ার পর আর কোনো যোগাযোগ নেই সেই বান্ধবীর সাথে। এদিকে হরেন্দ্র জানান যে তিনি ৪ বার দূর্দান্ত পরীক্ষা দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তার ভাগ্য তাকে শেষ পর্যন্ত সমর্থন করেনি। গত ২০১১ সালে দিল্লী পৌঁছান প্রস্তুতি নিতে। তারপর থেকে জীবনে কি কি ভুল করেছেন সেগুলোও জানিয়েছেন হরেন্দ্র।
তবে ভেঙে পড়েননি তিনি। এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “সফল হওয়ার পর দুনিয়া বদলে যায়। অসফলতা হল সেই পাপ, যেটিকে কেউ ক্ষমা করতে পারেন না।” তার সাহস এবং সততার প্রসংশা করেছেন অনেকে। আর ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল সারা দেশে। ৮ লক্ষ ৩০ হাজারেও বেশি মানুষ দেখে নিয়েছে ভিডিওটি।