রেশন কার্ড (Ration Card) সম্পর্কে এবার বড়ো পদক্ষেপ নিলো কেন্দ্র। লক্ষাধিক রেশন কার্ডধারীকে সন্দেহভাজনের তালিকায় রেখে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিলো রাজ্য সরকারকে। NFSA এর অধীনে রেশন কার্ড উপভোক্তা পুরোদস্তুর সেই কার্ড প্রাপ্তির যোগ্যতা রাখেন কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখবে কেন্দ্র। এবং জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই এই তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার।
NFSA থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী প্রায় ৭০ লক্ষ রেশন কার্ড আনা হয়েছে এই তদন্তের আওতায়। গত মে মাসেই উত্তরপ্রদেশের এই নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিলো। দাবি অনুযায়ী বলা হয়েছিলো যে যাদের অবৈধ রেশন কার্ড রয়েছে সেইসব রেশন কার্ড তহসিলে গিয়ে অবিলম্বে জমা করতে হবে। এবং তা না করলে খোদ সরকার কর্তৃক অবৈধ কার্ড বাতিল করা হবে। শুধু তাই নয়, সেই কার্ড থেকে পাওয়া রেশনও পুনরুদ্ধার করবে সরকার।
যদিও এই ঘটনার কিছু পরে সরকার থেকে জানানো হয় এরকম কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। তবে সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী, যোগী সরকার ইতিমধ্যেই রেশন কার্ড বাতিলের কাজ শুরু করে দিয়েছে। এবার থেকে অর্থনৈতিক অবস্থার বিচার করেই দেওয়া হবে রেশন কার্ড। এবং একমাত্র অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দূর্বল মানুষরাই বিনামূল্যে রেশন পাবেন।
আসলে ২০১১ সালে দেওয় আদমশুমারি অনুযায়ী দেশজুড়ে অভাবি মানুষদের জন্য রেশন কার্ড তৈরি হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে সন্দেহভাজনের তালিকাও নেহাত কম নয়। আর এইসব অবৈধ উপভোক্তাদেরই খুঁজে বের করতে চাইছে সরকার। তদন্তে কোনো কার্ড অবৈধ প্রমাণিত হলে সেই কার্ড অবিলম্বে বাতিল করা হবে এবং তার জায়গায় নতুন কার্ড তৈরি হবে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিগত এক দশকের কিছু কম সময়ের মধ্যে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রীশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রায় ৪.৭৪ কোটি রেশন কার্ড বাতিল করেছে সরকার। সূত্রের খবর, এই ৯ বছরের মধ্যে শুধুমাত্র ২০১৬ সালেই বাতিল হওয়া কার্ডের সংখ্যা প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি।
২০১৬ এর পর গত ২০২০-২০২১ সালে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রীশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে প্রায় ৪৬ লক্ষ কার্ড বাতিল করা হয়। জানিয়ে রাখি বিগত কয়েকবছরে দেশজুড়ে যত রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে তার মধ্যে তালিকায় প্রথমেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং তারপর পশ্চিমবঙ্গ(৬৮.৬২লক্ষ) ও মধ্যপ্রদেশ (৪২.৬৬ লক্ষ)।