প্রায় বছর খানেক কেটে গিয়েছে, এখনও অবধি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিকে (Teacher Recruitment Scam) ঘিরে সরগরম বাংলার (West Bengal) রাজ্য রাজনীতি। দুর্নীতির অভিযোগে এখনও অবধি জেলবন্দি রয়েছেন শাসক দলের একের পর এক হেভিওয়েট নেতা।
অন্যদিকে হাজার হাজার শিক্ষকের (Teacher) ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলে রয়েছে। যারা যোগ্য হয়েও চাকরি পাননি তাঁদের তো দুর্দশার শেষ নেই। এদিকে যারা যোগ্য না হয়েও বছরের পর বছর ধরে স্কুলে চাকরি করে আসছেন এখন তাঁদের কপালেও একপ্রকার শনি নাচছে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court Of India) ও কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এই দুইয়ের সাঁড়াশি আক্রমণের জেরে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকাই আশঙ্কার প্রহর গুনছেন।
সকলের একটাই প্রশ্ন, চাকরিটা থাকবে তো? এদিকে আজ মঙ্গলবার থেকে এই প্রশ্নটা আরও প্রাসঙ্গিক হতে চলেছে। কেন জানেন? কারণ আজ আরো ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের আর্জি জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আর এই মামলার শুনানি হবে আর অন্য কেউ নয়, দাপুটে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) এজলাসে।
আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হবে জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। অভিযোগ উঠেছে, এই ১০ হাজার চাকরি প্রার্থী চাকরির শর্তপূরণ না করেই এত দিন ‘অস্থায়ী শিক্ষক’ হিসাবে চাকরি করে এসেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে মামলকারীরা জানিয়েছেন, ওই ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকেরা প্রত্যেকেই বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার জন্য যে ডিএলএড ডিগ্রি লাগে, তা এঁদের নেই। সাধারণত উচ্চপ্রাথমিক বা তার উপরের স্তরের স্কুলে চাকরির জন্য লাগে বিএড প্রশিক্ষণ। কিন্তু ২০১৮ সালে জাতীয় শিক্ষণ পর্ষদ একটি নতুন নিয়ম তৈরি করে। তারা জানায়, বিএড প্রশিক্ষিতরাও প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু চাকরি পাওয়ার এক বছরের মধ্যে তাঁদের একটি ছ’মাসের ব্রিজ কোর্স করতে হবে।
মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, এই ১০ হাজার প্রাথমিকের শিক্ষক প্রত্যেকেই বিএড প্রশিক্ষিত হলেও নিয়ম মোতাবেক ব্রিজ কোর্সটি করেননি। ফলে জাতীয় শিক্ষণ পর্ষদের নিয়মানুসারে এঁরা প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন।